মুখবন্ধ
রূপবৈচিত্রময় প্রিয় মাতৃভূমির নাম বাংলাদেশ। এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে স্বতন্ত্র মাটির গুণ, পণ্য, স্থান, নিদর্শন, ভাষা, জীবনাচরণ। বৈচিত্রময় এসব স্বতন্ত্র সত্তা হয়ে উঠতে পারে অর্থনীতির এক অপার সম্ভাবনার হাতিয়ার। বর্তমান সরকারের নতুন নতুন উদ্ভাবনী চেতনার মধ্যে প্রতিটি জেলায় স্বতন্ত্র পণ্য বা সম্ভাবনাময় ঐতিহ্যকে ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারি উদ্যোগ। ।
জেলার সকল স্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে জেলা ব্রান্ডিং কার্যক্রম কার্যকরিভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে উক্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরাসরি অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে জেলা ব্রান্ডিং কর্মযজ্ঞে সর্বস্তরের যশোর বাসির সহযোগিতা একান্ত আবশ্যক।
যশোরের জেলা ব্রান্ডিং
একটি জেলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রেখে জেলা ব্রান্ডিং এর বিষয় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। “নানা রঙের ফুলের মেলা খেজুর গুড়ে যশোর জেলা”- গানের মধ্য দিয়ে যশোরের ঐতিহ্য আর সম্ভাবনার প্রতীকস্বরূপ ব্রান্ডিং হিসেবে ফুল এবং খেজুরের গুড় নির্ধারণ করা হয়েছে। যশোর জেলায় নানা রঙের ফুলের মেলার সূত্রপাত আশির দশকের শুরুতে। ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় শের আলী নামক জনৈক ব্যক্তি ১৯৮৩ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষাবাদ শুরু করেন। ধীরে ধীরে এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সারা যশোর। যশোর শহর থেকে ২৫/৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলাতেই মূলত ফুলচাষের মহাযজ্ঞ। সবুজের মাঝে সাদা রজনীগন্ধা আর লাল গোলাপ হলুদ গাঁদার চাদর পাতা মনমাতানো; সে এক অভুতপূর্ব নয়নাভিরাম দৃশ্য। বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠে মাঠে লাল, হলুদ, খয়েরী ও হলুদসহ রং বেরং এর বাহার। যতদূর চোখ যায় শুধু ফুল আর ফুল। প্রায় একশো গ্রামে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। এসব এলাকায় চাষ হচ্ছে রজনীগন্ধা, লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, কালো গোলাপ, হলুদ গোলাপ, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রথস্টিক, জিপসি, গ্যালেনডোলা, চন্দ্রমল্লকিা, লিলিয়াম, গাঁদা, জবা ও জুঁইসহ নাম না জানা আরো হরেক রকমের ফুল। তালিকাভুক্ত ৭০০০ ফুল চাষি হলেও প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ মানুষ ফুল বাণিজের সাথে জড়িত। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ফুল। ফুলের মান বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, চাষিপর্যায়ে আধুনিক পদ্ধতি ও কলাকৌশলের জ্ঞানের অভাব, বিপনন ব্যবস্থার সহায়ক অবকাঠামো এবং সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের মত আরো কিছু সমস্যা বিদ্যমান। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে কিছু ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদে ফুলচাষিদের ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দিচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এসব সমস্যা সমাধানকল্পে সরকারের কার্যকরি পদক্ষেপে যশোরের ফুলচাষ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের আর এক সম্ভাবনাময় পণ্য। যশোর জেলা ব্রান্ডিং এর আরেক পণ্যের নাম খেজুরের গুড়। “খেজুরের রস যশোরের যশ”। বাংলার মানুষের মুখরোচক প্রবাদ। ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র মিত্রের 'যশোর খুলনার ইতিহাস' গ্রন্থসূত্রে জানা যায় একসময় যশোর অঞ্চলের প্রধান কৃষিপণ্য ছিল খেজুরের গুড়। ১৯০০-০১ সালে পুরো বঙ্গে খেজুর চিনি উৎপাদিত হয়েছে ২১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ মণ। এর মধ্যে কেবল যশোরেই উৎপাদিত হয়েছে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ মণ, যার দাম ছিল সেই আমলে ১৫ লাখ টাকা। আর বর্তমানে খেজুর গুড়ের বাণিজ্য দাড়িয়েছে বছরে প্রায় শত কোটি টাকা। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে, এ অঞ্চলের মাটি সাধারণত বেলে দোঁ-আশ। মাটির অম্লত্ব কম, পানিতে লবনাক্ততা নেই এবং এখানে বৃষ্টিপাতের হারও কম । গাছের শিকড় অনেক নিচে পর্যন্ত যেতে পারে ফলে দেশের অদ্বিতীয় যশোরের খেজুরের রস সুগন্ধি ও সুস্বাদু হয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ তৈরি করে বিখ্যাত “পাটালি গুড়”। যশোর ব্যতিত বাংলাদেশের কোথাও এই গুড় পাওয়া যায় না। এই গুড়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাইরে এর আবরণ থাকে শক্ত কিন্তু ভেতরটা গলে যাওয়া মোমের মত। এছাড়া যশোরের খেজুরে চিনির গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী।১৮৬১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ হাউজ চৌগাছার তাহেরপুরে খেজুরের গুড় থেকে ব্রাউন সুগার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই চিনি সামান্য লালচে কিন্তু বর্তমানে আখের চিনির মত ঝরঝরে ছিল।ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, এক সময় চিনি ছিল যশোরের প্রধান অর্থকরী পণ্য। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো ছাড়াও বাদামী চিনি রফতানি হত ইউরোপে।আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান ব্যবহার করে যদি বাণিজ্যকভাবে খেজুর গুড় উৎপাদন করা সম্ভব হয় তাহলে যেমন অতিতের মতো ইউরোপে বাজারজাত করা সম্ভব হবে তেমনি যশোরের গুড় ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য।
যশোর জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাংলাদেশ নামের ভূখন্ডটি প্রাচীনকালে কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ইতিহাসে এসব রাজ্য ভাংগা, পান্ডু, সমতট, তাম্রলিপি বঙ্গ ইত্যাদি নামে পরিচিত। উক্ত সময়ে যশোর তাম্রলিপি ভাংগা রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়। গংগা নদীর পলল অবক্ষেপণেসৃষ্ট যশোর জেলার সবচেয়ে পুরাতন বিবরণ পাওয়া যায় টলেমির মানচিত্রে। মহাভারত, পুরান, বেদ ও আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে এ অঞ্চলের উল্লেখ পাওয়া যায়। যশোর জেলার নামকরণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বহু কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেছেন আরবি শব্দ ‘জেসিনরে’ থেকে যশোর নামের উৎপত্তি যার অর্থ সাকো। অনুমান করা হয় খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পার হয়ে মুড়লীতে আগমন করেন বলে বাঁশের সাকো থেকে যশোর নামের উৎপত্তি।আবার কেউ বলেছেন যশোর শব্দ ‘যশোহর’ শব্দের অপভ্রংশ। যার অর্থ যশ হরণকারী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান। গৌড়ের যশ হরণ করে এই শহরের শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় নাম হয় যশোর। নামের উৎপত্তি যাইহোক পরবর্তীকালে যশোর সহ সন্নিহিত অঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগলিক ও বৈপ্লবিক ইতিহাস বহু উত্থান-পতন আর বৈচিত্রপূর্ণ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যশোর জেলার আজকের এই অবস্থান। চিরকালের আপোসহীন সংগ্রামী যশোরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইংরেজ শাসকগণ তাদের শাসন কাজের সুবিধার জন্য যশোরকে একটি ভূখন্ডে নির্দিষ্ট করে স্বতন্ত্র জেলায় রূপান্তরিত করে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম উল্লেখযোগ্য এ জেলাটির মাধ্যমেই ১৭৮১ সালে বর্তমান বাংলাদেশে বৃটিশ প্রশাসনের প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৭৮১ সালে জেলা ঘোষণার পর প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মি. টিলম্যান হেঙ্কেল (১৭৮১-১৭৮৯)। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের ফলে অবিভক্ত বাংলার পূর্বাঞ্চলকে করা হয় পাকিস্তানের অংশ এবং পশ্চিমাঞ্চলকে করা হয় ভারতের। এর মধ্যে সীমানারেখা নির্ধারণের ফলে যশোর জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের পরিবর্তন সাধিত হয়। এ সময় যশোরের বনগ্রাম মহকুমাকে ভারতের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৮২ সালে সামরিক সরকার প্রধান জনাব এইচ এম এরশাদ থানাকে উপজেলায় এবং মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করেন যার ফলে ১ মার্চ ১৯৮৪ সালে মহকুমা হতে জেলায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে যশোর জেলায় ০৬ টি সংসদীয় আসন, ০৮ টি উপজেলা এবং ০৭ টি পৌরসভা রয়েছে । এ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (সাহিত্যিক) প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান (সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান) মো: রফিকউজ্জামান (গীতিকার), ববিতা (অভিনেত্রী), সুচন্দা প্রমুখ (অভিনেত্রী)। ইতিহাস আর ঐতিহ্যেবাহী যশোর জেলার দর্পণ হিসেবে ব্রান্ডিং নির্বাচন করা হয়েছে বাংলাদেশে ব্যতিক্রমি নানা রঙের ফুল এবং খেজুরের গুড় কে। জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে জেলা ব্রান্ডিংয়ের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধে যশোর
দেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর, ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যশোরে পরাজিত হয়। ৬ ডিসেম্বর সকালে ও দুপুরে দুই দফায় প্রচন্ড লড়াই হয় ভারতীয় ৯ম পদাতিক ও ৪র্থ মাউন্টেন ডিভিশনের সাথে পাকিস্তানী ৯ম ডিভিশনের। সুরক্ষিত পাক দুর্গ বলে খ্যাত যশোর ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সৈন্য না থাকায় পাকিস্তানী সেনারা হতোদ্যম হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে থাকে। মুখোমুখি সে যুদ্ধে পাকসেনাদের অবস্থান ছিল যশোর ক্যান্টনমেন্টের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফরায়। বাংলাদেশের ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গরিবপুরে মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয়। আফরার প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ায় পাকসেনাদের পালানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না এবং পাক বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে খুলনায় পালিয়ে যায়। মুক্ত হয় যশোর।
ইমাম বাড়া
সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে অবস্থিত ৩০০ বছরের পুরনো মুরালি ইমাম বাড়া। এটি প্রতিষ্ঠা করেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন। ইট দিয়ে নির্মিত আয়তাকার ভবনটি উত্তর-দক্ষিণে ৬০ ফুট, পূর্ব-পশ্চিমে ৫০ ফুট যা ভেতরের অংশে ১০টি পিলার দিয়ে তিন সারিতে বিভক্ত। পিলারের পলেস্তরার ওপর কালো কালি দিয়ে আরবি লিপিতে লেখা দৃষ্টিনন্দন ক্যালিগ্রাফি রয়েছে।
যশোর বিমান বন্দর
১৯৪২ সালে বৃটিশরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে যশোরে বিমান ঘাঁটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ১৯৪৬ সালে ২২৫ একর জমির উপর গড়ে তোলা হয় যশোর বিমান বন্দর। ভারত ভাগ হলে ১৯৫০ সালে যশোরে পাকিস্তান সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করে। তবে যশোরে পূর্নাঙ্গ বিমানবন্দর চালু হয় ১৯৬০ সালে।বাংলাদেশ বিমান ছাড়াও বর্তমানে বেসরকারি ২টি বিমানের ফ্লাইট রয়েছে এই বন্দরে।
ফুল চাষের গোড়াপত্তন
ফুল এবং বাঙালীর জীবন এক অবিচ্ছেদ্য সুতোয় গাথা। রুচিশীল বাঙালি মাত্রই বাড়ির আঙ্গিনায় ফুল বাগানের সমারোহ। কিন্তু ফুলচাষ যে বাড়ির আঙ্গিনা ছেড়ে বাণিজ্যিক সাফল্য লাভও করতে পারে তা বাংলাদেশে প্রথম পরিলক্ষিত হয় যশোর জেলায়। মূলত আশির দশকের শুরুতে বাণজ্যিকভাবে যশোরে ফুল চাষ শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে প্রথম ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি গ্রামের শের আলী ভারত থেকে বীজ এনে বাণিজ্যিক ভাবে ফুল চাষ শুরু করেন। শের আলীর সেই গদখালি গ্রামই এখন যশোরের ফুল চাষের রাজধানী। এখানে প্রতিদিন ভোরে ফুলের হাট বসে। পাইকারী ফুল ব্যবসায়ীরা এই হাট থেকে ফুল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। যশোরের উৎপাদিত ফুল চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের ৫৪ টি জেলায়। দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার ঢাকার শাহবাগের বেশির ভাগ ফুলের যোগান যশোর থেকে দেয়া হয়। বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে গোলাপ , গাঁদা, রজনীগন্ধা , জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্র মল্লিকা, লিলিয়াম, বেলি জিপসি এর মত নানান জাতের ফুল। যশোরের শার্শা, ঝিকরগাছা, যশোর সদর , মনিরামপুর, কেশবপুর ও চৌগাছা উপজেলার প্রায় একশো গ্রামে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় চারশো কোটি টাকার ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। তালিকাভুক্ত সাত হাজার ফুল চাষি হলেও ফুল বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ। যশোরের ফুলের খ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমিন্ডল। একাধিক ফুল চাষি পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত। এদের মধ্যে ফুলচাষে জাতীয় সনদ প্রাপ্ত কয়েকজন নারী ফুলচাষিও রয়েছেন।
যশোরের গুড়
যশোরের শত শত বছররে ইতহিাস ঐতহ্যিরে সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে খেজুরের রস, গুড় ও পাটালী। ঐতিহাসিক সতীশ চন্দ্র মিত্রের যশোর খুলনা ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ১৯০০-১৯০১ সালে পূর্ব বঙ্গে খেঁজুরের গুড় তৈরি হয়েছে ২১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ মণ। এর মধ্যে শুধু মাত্র যশোরেই তৈরি হয়েছে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ মণ গুড়। ১৮৬১ সালে ইংল্যান্ডের নিউ হাউজ চৌগাছার তাহেরপুরে খেজুরের গুড় থেকে ব্রাউন সুগার তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ঐ কারখানার উৎপাদিত গুড় সে সময়ে ইউরোপে রপ্তানি হয়েছে। পরবর্তীতে যশোরের বিভিন্ন গ্রামে ১১৭টি কারখানা গড়ে উঠে। কিন্তু শিল্প বিপ্লবের পর সাদা চিনির কাছে লালচে গুড় পরাজিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে যশোরে সাত লাখ ৯১ হাজার ৫১৪টি খেজুর গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে প্রতি বছর চার হাজার ৬৪০ মেট্রিকটন গুড় ও ৪০ মেট্রিকটন রস উৎপান হয়। বিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে যশোরের “নোলেন গুড়” দিয়ে বিখ্যাত সন্দেশ তৈরি করা হতো যা কোলকাতায় এখনো একটি সুস্বাদু খাবা্রের তালিকায় স্থান পায়। খেজুর গুড়রে হারানো ঐতিহ্যে ফিরে পেতে এবং নতুন আঙ্গিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি করার লক্ষ্যে খেজুর গুড়কে যশোরের জেলা ব্রান্ডিং এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কালেক্টরেট বিল্ডিং
উপমহাদেশের প্রথম কালেক্টরেট হিসেবে ১৭৮৬ সালে যাত্রা শুরু করা কালেক্টরেট ১৮৮৫ সালে বর্তমান স্থানে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৮০ সালে দোতলা উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে বর্তমান রূপ লাভ করে। কালেক্টরেট ভবনটি যশোর শহরের দড়াটানায় অবস্থিত। উপমহাদেশে বৃটিশ স্থাপনারগুলোর মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে প্রাচীনতম । ১৭৮১ সালে জেলা ঘোষণার পর প্রথম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মি. টিলম্যান হেঙ্কেল (১৭৮১-১৭৮৯)। এই ভবনের সাথে জড়িয়ে আছে বৃটিশ ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত কর্মকর্তার নাম। অনন্য মহিমায় দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি নিজেই যেন বৃটিশ শাসনের ২০০ বছরের একটি ইতিহাস; রয়েছে প্রথম দেখায় চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো হাজারো উপাদান।
জেলা প্রশাসকের পুরাতন বাসভবন
সাতক্ষীরা হাউজ নামে পরিচিত ১৮৯৫ সালে নির্মিত দেশের প্রথম কালেক্টরের বাসভবন যেন স্থাপত্য নিদর্শনের এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য। দোতলা এ ভবন সংলগ্ন রয়েছে দিগন্ত বিসৃত এক মাঠ যার মোট জমির পরিমান ২৪.৭৫ একর। বহুল পরিচিত এই ডিসি বাংলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ডিসি বাংলো। তৎকালীন ভারত সম্রাট ১৯২১ সাল থেকে দু দফায় ২৫ বৎসরের জন্য এই জমি লীজ নেন যা পরবর্তীতে কোম্পানীটি খরিদ সূত্রে ব্যাংক অব ক্যালকাটার অধিকার গ্রহণ করে। ব্যাংকটি জেলা প্রশাসকের অনুকূলে এর লীজ নবায়ন করতে না চাইলে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন সরকার জনস্বার্থে ঐ সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেন। ১১-৫-১৯৯৫ তারিখে ভবনটি স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের সরেজমিন পরিদর্শনে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষিত হয়।
বেনাপোল স্থল বন্দর
দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেনাপোল স্থল বন্দর যা শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বেনাপোলে অবস্থিত। স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের প্রায় ৯০% এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়। স্থানীয় মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ। বেনাপোল হতে কলকাতা মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় স্থল পথে বাংলাদেশ থেকে ভারত গমনের প্রধান পথ যশোর-বেনাপোল-বনগাঁ-কোলকাতা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড রুট ব্যবহৃত হয়।
রিট্রিট সিরিমনি
রিট্রিট সিরিমনি বেনাপোল স্থলবন্দরের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ। সূর্যাস্তের সময় বেনাপোল সীমান্তের শূন্য রেখায় দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মাথায় লাল হলুদ ডোরা ফুল পরে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে দুই দেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই নয়নাভিরান সামরিক কুচকাওয়াজ প্রর্দশন করা হয়।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে কপোতাক্ষ নদে তীরে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি। কয়েকটি পুরনো দ্বিতল ও একতলা ভবন আছে এ বাড়িতে। বর্তমানে এ বাড়িতে একটি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাদুঘরে আছে কবি পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র।
মির্জানগর হাম্মামখানা
সম্রাট আকবরের সময় (১৬৩৯-৬০) বাংলার সুবাদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র সফসি খাঁন ১৬৪৯ সালে এই হাম্মামখানাটি নির্মাণ করেন। পূর্ব পশ্চিমে চারকোনাবিশিষ্ট আয়তকার। এই হাম্মামখানাটি মোঘল শৈলির অনুকরণে নির্মিত।
মধুমেলা
মধুমেলা যশোরের ঐতিহ্যের অন্যতম একটি অংশ। প্রতিবছর মধুসূদনের জন্মবার্ষিকীতে অর্থাৎ জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে জেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ মেলার আয়োজন করা হয়। কথিত আছে কবির মৃত্যুর পর তার ভাইয়ের মেয়ে কবি মানকুমারি বসু ১৮৯০ সালে কবির প্রথম স্মরণসভার আয়োজন করেন সাগরদাঁড়িতে। সেই থেকে শুরু হয় মধুমেলার।মধুমেলা বাংলাদেশের অন্যতম একটি বৃহৎ মেলাও বটে কারণ এই মেলায় প্রতি বছর প্রায় বিভিন্ন ধরণের ৩০০-৪০০ স্টল অংশগ্রহণ করে। গ্রামের মেলায় যা যা থাকে মোটামুটি সবই পাওয়া যায়। মেলার মূল আকর্ষণ বভিন্নি জেলা থেকে আগত সাংস্কৃতিক দলের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক ও নাট্যানুষ্ঠান।
ব্রান্ডিং পণ্যে সাফল্য
শের আলী সরদার। একজন সফল ফুলচাষী। বাড়ি ঝকিরগাছা উপজেলার পানসিারা গ্রাম। ফুলচাষি হিসেবে পেয়েছেন দেশি এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃ্তি। কিন্তু তার শুরুটা ছিল অনেকটা সাদামাটাভাবে। ৮০-র দশকের মধ্যভাগ ১ বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষের মধ্যে দিয়ে এদেশে বাণিজ্যিক ফুলচাষের গোড়াপত্তন করেন। তাকেই পুরোধা বলতে হয় ফুল বাণিজ্যের। শের আলী উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ফুলচাষের সাফল্য দেখে। তখন দেশের ফুলের বাজার দখল করে ছিল ভারত, থাইল্যান্ড, চীনসহ অন্যান্য দেশ। খুব বেশি চাহিদা ছিল না ফুলের। আশির মাঝামাঝিতে বাণিজ্যিক ফুল চাষের অল্প-স্বল্প সাড়া জাগতে থাকে। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা সদর থেকে দিনে দিনে শার্শা, চৌগাছা, মনিরামপুর, কেশবপুরে খুব সীমিত পরিসরে ছড়িয়ে যেতে থাকে ফুল চাষ। কেউ কেউ সফল হন, কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যান স্বাভাবিক চাষাবাদে। একদিকে সম্ভাবনা আরেক দিকে প্রতিবন্ধকতা। এ রকম আশা-নিরাশার মধ্যেই শের আলী চালিয়ে গেছেন তার তপস্যা।প্রথমদিকে গাঁদা, গোলাপ ও রজনীগন্ধা দখল করতে থাকে আবাদি ক্ষেত। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে আবাদি ক্ষেতে ফুলের বৈচিত্র্য। ফুলচাষের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে একের পর এক নতুন নতুন ফুলের চারা এনে চাষ করছেন। ২০০৯ সালে জারবেরা চাষের সাফল্যের দুই বছর পর এনেছেন লিলিয়াম। অবশ্য এ ফুলের সম্প্রসারণ এখনও ব্যাপকতা পায়নি। একইসাথে থাইল্যান্ড থেকে অর্কিডের টিস্যু কালচারের চারা আনা হয়েছে। এর মান ঢাকার বাজারের অর্কিডের চেয়েও ভালো হবে বলে আশাবাদী শের আলী সরদার।এক সময় যে কৃষক ফসল আবাদ করত শুধুই তার বেঁচে থাকার চিন্তায়। এখন সে কৃষক মিলিত হয়ে গেছে বিশ্বায়নের সঙ্গে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষের পথিকৃত শের আলীর এখন সব খরচ বাদে বছরে লাভ থাকে ২০ লক্ষাধিক টাকা। হয়েছেন কোটিপতি কৃষক। ঘুরেছেন বিশ্বের ১৮টি দেশ।এই চাষকে শিল্পে রূপান্তর করার জন্য শের আলীর মতো আরো হাজারো কৃষকের চাওয়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আধুনিক গবেষণা কেন্ত্র স্থাপন, ফুল রপ্তানি নীতিমালা এবং নির্মল ফুলচাষবান্ধব একটি পরিবেশ।
পীর মেহেরুদ্দীন (রাঃ) এর মাজার
মাজারটির বয়স প্রায় ৩০০ বছর। কথিত আছে পীর মেহেরুদ্দীন (রাঃ) খান জাহান আলী (রাঃ) এর সমসা্ময়িক পীর। ৩.২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত মাজা্রটির বিশেষ আর্কষণ এর চারিদিকে বিস্তৃত শতবর্ষি বট গাছের সমারোহ।
কেশবপুরের কালোমুখ হনুমান
বিরল প্রজাতির কালোমুখ হনুমান বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে। শুধু কেশবপুর সদর এলাকা, ব্রক্ষকাঠি রামচন্দ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা এবং পার্শবর্তী মনিরামপুরের র্দুগাপুর গ্রামে এই হনুমান দখো যায়। ইংরেজিতে এর নাম কমনলেঙ্গুর। র্বতমানে এদের সংখ্যা প্রায় ৫শ। ধারণা করা হয় শত শত বছর যাবত এই এলাকায় কালোমুখ হনুমান রয়েছে।
এগারো শিব মন্দির
সতেরো শতকের মাঝামাঝিতে নির্মিত বাংলাদেশের প্রত্নতাত্তিক স্থাপনার এক অনন্য সৌর্ন্দয অভয়নগর উপজেলার এগারো শিব মন্দির ।দেয়ালে পোড়ামাটির ফলক ও অনন্দ্যিসুন্দর কারুকাজ যে কোন মানুষরে মন কেড়ে নেবে।
আগামি ০৩ বছরের মূল কর্মপরিকল্পনা
(মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত জেলা ব্র্যান্ডিং কৌশলপত্র ২০১৭ এর ৩.১ (ছ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)
জেলা: যশোর
ক্রমিক |
কার্যক্রম/লক্ষ্য/লক্ষমাত্রা |
পরিমাণ/সংখ্য/গুণগত মান |
কর্ম-সম্পাদন সূচক |
মেয়াদ/সময়সীমা |
দায়িত্ব |
সহায়তাকারী |
||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
০১ |
প্রতিবছর পণ্য উদ্যোক্তাকে ই-কমার্সে সংযুক্তকরণ |
১০ জন |
ই-কমার্সে সংযুক্তি প্রতিবেদন |
জুন-২০২১-জুন-২০২৩ |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
০২ |
পণ্য উদ্যোক্তাকে ম্যানুয়াল বাজার নেটওয়ার্কে সংযুক্তকরণ |
১০ জন |
এফবিসিসি আই অন্তর্ভূক্তির প্রতিবেদন |
জুন-২০২১-জুন-২০২৩ |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, স্থানীয় বাজার কর্মকর্তা, স্থানীয় বণিক সমিতি অংশীজন |
||
০৩ |
স্থায়িত্বশীল উদ্যোক্তা তৈরি (পণ্য) |
০৩ জন |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন উদ্যোক্তার সংযুক্তি |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
জেলা কমিটি ও টিম |
||
০৪ |
স্থায়িত্বশীল উদ্যোক্তা তৈরি (পণ্য) জন |
০৩ জন |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
জেলা কমিটি ও টিম |
||
০৫ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং বিষয়ক প্রচারণা |
৬ টি |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
|
এটুআই, অংশীজন |
||
০৬ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং পণ্যের বৈদিশিকীকরণ/বিদেশে বিক্রয় ১ টি পণ্য |
১ টি |
ই-কমার্সে সংযুক্তি প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
০৭ |
ব্র্যান্ডিং বিষয়ক জেলা কমিটির সভা |
১২ টি |
সভার কার্যবিবরণী |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
০৮ |
পণ্য, পর্যটন, উদোক্তার তালিকা হালনাগাদকরণ |
১ বার |
ইকমার্স ড্যাসবোর্ড জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন
|
||
০৯ |
বিগত বছরের কর্মসম্পাদন মূল্যায়ন |
১ বার |
ইকমার্স ড্যাসবোর্ড জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর/জানুয়ারি |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই |
||
১০ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং পণ্যের বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি |
১৫ লক্ষ টাকা |
ইকমার্স ড্যাসবোর্ড জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
১১ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং-এর ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্ঠি |
২০ জন |
ইকমার্স ড্যাসবোর্ড জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
১২ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত প্রকাশনা |
২ টি |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
১৩ |
রোডশো, মেলা, কর্মশালা |
২ টি |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, একশপ, অংশীজন |
||
১৪ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ |
১ টি |
এটুআই ও জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও এটুআই |
একশপ, অংশীজন |
||
১৫ |
উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা প্রদান |
১০ জন |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, অন্যান্য ব্যাংক, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজন |
||
১৬ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং দূত নির্বাচন ও নিয়োগ |
০১ জন |
জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন |
চাহিদামতো |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, সংশ্লিষ্ট অংশীজন |
||
১৭ |
জেলা-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম পরিদর্শন |
৪ বার |
পরিদর্শন প্রতিবেদন |
প্রতিবছর |
জেলা কমিটি ও টিম |
এটুআই, সংশ্লিষ্ট অংশীজন |
আগামি ০৩ বছরের কর্মপরিকল্পনার Highlights
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস